Published : Thursday, 25 January, 2024 at 10:19 AM, Update: 25.01.2024 10:22:47 AM
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে সোনার খনি ধসে ৭০ জন নিহত হয়েছেন। মূলত খনিটির টানেল ধসে পড়ার পর বিপুল সংখ্যক প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এপি এবং সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি অবশ্য নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ৪০ বলে জানিয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালিতে একটি সোনার খনিতে টানেল ধসে কমপক্ষে ৪০ জন নিহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। স্বর্ণ খনির স্থানীয় কর্মকর্তা ওমর সিদিবে বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘একটি শব্দ হওয়ার পর খনিতে ধস শুরু হয়েছিল। পৃথিবী তখন কাঁপতে শুরু করেছিল।’
গত শুক্রবার আফ্রিকার এই দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিম কাউলিকোরো অঞ্চলের একটি স্থানে ওই সুড়ঙ্গটি ধসে পড়লেও এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গভাবে মৃতের সংখ্যা জানা যায়নি। তবে কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এএফপি জানিয়েছে, সুড়ঙ্গে ধসের ঘটনায় ৭০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন।
দেশটির ন্যাশনাল জিওলোজি ও মাইনিং ডিরেক্টরেটের সিনিয়র কর্মকর্তা করিম বেথে এটিকে ‘দুর্ঘটনা’ উল্লেখ করে বিস্তারিত জানান।
দুর্ঘটনার শিকার সোনার খনির কর্মকর্তা ওমর সিদিবে বলেন, প্রথমে অনেক জোরে শব্দ হয়। এর পরপরই মাটি কেঁপে ওঠে। ধসে পড়ে সুড়ঙ্গটি।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘দুর্ঘটনার সময় খনিটিতে দুই শতাধিক শ্রমিক কাজ করছিলেন।
স্থানীয় কাউন্সিলর নিহতের একই সংখ্যা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার মালির খনিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে দুর্ঘটনা ও কয়েকজন শ্রমিক নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে। তবে বিবৃতিতে নিহত শ্রমিকের সংখ্যা জানানো হয়নি।
মালি সরকারের পক্ষ থেকে খনি দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের প্রতি শোক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়েছে।
আফ্রিকার যেসব দেশে সবচেয়ে বেশি সোনা উত্তোলন করা হয়, তার একটি মালি। ২০২২ সালে দেশটি ৭২.২ টন সোনা উৎপাদন করেছিল। দেশটিতে স্বর্ণ জাতীয় বাজেটের ২৫ শতাংশ, রফতানি আয়ের ৭৫ শতাংশ ও মোট দেশীয় পণ্যের ১০ শতাংশ অবদান রেখেছিল সেই বছরে।
মালির ২০ লাখেরও বেশি মানুষ অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশেরও বেশি তাদের আয়ের জন্য খনি খাতের উপর নির্ভর করে।
উল্লেখ্য, মালি বিশ্বের অন্যতম সোনা রপ্তানিকারক দেশ।