Published : Thursday, 14 December, 2023 at 2:04 PM, Update: 15.12.2023 12:48:49 AM
লালমনিরহাট ও তার পার্শ্ববর্তী জেলা গুলোতে হিমেল বাতাসের সাথে ঘন কুয়াশার কারণে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। সারা দিন ধরে দেখা মিলছে না সুর্যের। উত্তরের সীমান্তবর্তী এ জেলা হিমালয় পর্বতের খুব কাছাকাছি হওয়ার কারণে আগেভাগে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। বেশি বিপাকে পড়েছে ছিন্নমূলসহ চরাঞ্চলের মানুষ ও গবাদি পশু। ফলে ছিন্নমূল অসহায় দরিদ্র লোকজন সীমাহীন কষ্ট ও দুর্দশায় দিনাতিপাত করছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিস জানান, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২ সপ্তাহ ধরে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি থেকে ১৭ সেলসিয়াসে ডিগ্রিতে ওঠানামা করছে।
এদিকে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লালমনিরহাটে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। আর এসব রোগের মধ্যে ডায়রিয়া আক্রান্তের সংখ্যাই বেশি। শহর এলাকার চেয়ে তিস্তার পাড়ে প্রচুর শীত। লালমনিরহাট সদর হাসপাতালসহ পাঁচটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি, ডায়েরিয়াসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে ভর্তি হচ্ছে মানুষ। এদের মধ্যে শিশুরোগীর সংখ্যা বেশি।
শীতের তীব্রতা বাড়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সন্ধ্যার পর জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। শীতে নাকাল হয়ে পড়েছে বিভিন্ন বয়সের মানুষ। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া কর্মজীবীরা। শীতবস্ত্রের অভাবে দরিদ্র-ছিন্নমূল মানুষরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। শীতে বোরো বীজতলা, ভুট্টা, আলু, সবজিখেতসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন অনেকে।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় বলেন, লালমনিরহাট স্বাস্থ্য বিভাগ শীতজনিত রোগীদের সেবা দিতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি রোগীদের সেবা দিতে বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে।