শিরোনাম: |
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, জাতীয় অধ্যাপক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার আবদুল মালিক মারা গেছেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নিজের হাতে গড়া হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল এপিডেমিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী এ তথ্য জানান। স্বাধীনতা পদক পাওয়া হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ আব্দুল মালিকের বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর, বার্ধক্যের নানা ধরনের অসুখে ভুগছিলেন তিনি। চিকিৎসক সোহেল রেজা বলেন, নানা জটিলতার কারণে এই হাসপাতালেই (ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে) ভর্তি ছিলেন স্যার। তার শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না। নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন।
১৯২৯ সালের ১ ডিসেম্বর সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কুচাই ইউনিয়নের পশ্চিমভাগ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আবদুল মালিক। সিলেট থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন ১৯৪৯ সালে। সেখান থেকে ১৯৫৪ সালে এমবিবিএস শেষ করেন।
হৃদরোগের চিকিৎসায় ১৯৭৮ সালে রাজধানীর মিরপুরে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন আব্দুল মালিক। চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০৪ সালে আবদুল মালিককে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয়। এর দুই বছর বাদে ২০০৬ সালে জাতীয় অধ্যাপকের মর্যাদা পান তিনি।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক শোক বার্তায় তিনি বলেছেন, মালিক বাংলাদেশের হৃদরোগ চিকিৎসার অন্যতম পথিকৃৎ। মরহুম মালিক একাধারে একজন সফল চিকিৎসক, প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও সমাজ সেবক। মানব হিতৈষী কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি নানাভাবে পুরষ্কৃত এবং প্রশংসিত হয়েছেন। বাংলাদেশে হৃদরোগ চিকিৎসার ক্ষেত্রে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
দেশসংবাদ/এমএইচ/এফএইচ
আপনার মতামত দিন
|