ইন্দোনেশিয়ার মারাপি আগ্নেয়গিরিতে উদ্গিরণের পর ১১ পর্বতারোহীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে জরুরি বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তিনি জানান, নিখোঁজ আরও ১২ জনের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান শুরু করা হলেও পরে নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে অভিযান সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।
তল্লাশি ও উদ্ধারকারী দলের মুখপাত্র জোডি হারিওয়ান বলেন, রোববার অগ্ন্যুৎপাতের সময় পশ্চিম সুমাত্রার ওই এলাকায় ৭৫ জন পর্বতারোহী ছিলেন। সোমবারের প্রথম কয়েক ঘণ্টায় ৪৯ জন পর্বতারোহীকে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে আরও তিনজনকে জীবিত অবস্থায় এবং ১১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার পাওয়া ৫২ জনের মধ্যে অনেকে দগ্ধ হয়েছেন আর তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রয়টার্স জানিয়েছে, রোববার ২৮৯১ মিটার (৯৪৮৫ ফুট) উঁচু আগ্নেয়গিরিটি ছাই উদ্গিরণ শুরু করে যা ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত উচ্চতায় উঠে যায়।
কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করে। তারা স্থানীয় বাসিন্দাদের জ্বালামুখের ৩ কিলোমিটারের মধ্যে যাওয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়। জোডি জানান, সোমবার ছোট একটি উদ্গিরণ হওয়ার পর উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়। তিনি বলেন, এখন অভিযান অব্যাহত রাখা অত্যন্ত বিপজ্জনক।
মারাপি সুমাত্রা দ্বীপের সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরিগুলোর একটি। এর সবচেয়ে প্রাণঘাতী উদ্গিরণটি হয়েছিল ১৯৭৯ সালের এপ্রিলে, তখন ৬০ জনের মৃত্যু হয়।
চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতেও মারাপিতে উদ্গিরণ হয়েছিল। তখন আগ্নেয়গিরিটি ৭৫ থেকে সর্বোচ্চ ১০০০ মিটার পর্যন্ত আগ্নেয় ছাই ছুড়ে দিয়েছিল। ইন্দোনেশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরের তথাকথিত আগ্নেয় মেখলার (রিং অব ফায়ার) ওপর অবস্থিত হাজারো দ্বীপের দেশ। দেশটিতে ১২৭টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি আছে। সূত্র: রয়টার্স