শিরোনাম: |
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার প্রত্যন্ত জনপদের গ্রাম পালনকুড়ি। সাত পাড়া নিয়ে এই গ্রামে আট বছর আগেও ছিল না প্রাথমিক বিদ্যালয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সেতো দুরের কথা প্রাথমিক শিক্ষা বঞ্চিত ছিল গ্রামের অন্তত ৮০ ভাগ শিশু। অতি সামর্থবানরা গ্রাম থেকে বহু দুরে ইউনিয়ন সদরের বিদ্যালয়ে ভর্তি করাতেন তাদের সন্তানদের।
এমন অবস্থার অবসান ঘটাতে এগিয়ে আসেন ওই গ্রামের শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি কোরবান আলী। তিনি গ্রামের ভিতর দিয়ে থাকা পাকা সড়কের পাশে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপানের জন্য দান করেন ৩০ শতক মুল্যবান জমি। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর অনেক দৌড়ঝাঁপ করে ভবন নির্মানেরও ব্যবস্থা করেন।
‘বিদ্যালয় বিহীন এলাকায় ১৫০০ প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মান প্রকল্প’ নামক প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করান। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ২০১২/২০১৩ সালে বিদ্যালয়টির ভবন নির্মান করেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। দর্শনীয় ভাবে একতলা বিদ্যালয় ভবন নির্মান করা হলেও কোমলমতির শিক্ষার্থীদের প্রাত্যহিক সমাবেশ বা এ্যাসিম্বি করার ও খেলার মাঠ ভরাট করা হয়নি। ফলে বছরের অধিকাংশ সময় পানি জমে থাকে মাঠে। আর বর্ষা মৌসুমে পরিনত হয় কোমর পানির জলাশয়।
বিদ্যালয়ের মাঠে শিক্ষার্থীদের খেলা-ধুলার পরিবর্তে সাঁতার কাটে হাঁসের দল। টাকার অভাবে বিদ্যালয় মাঠ ভরাট ও খেলার উপযোগী করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ওই বিদ্যালয়ের জমিদাতা ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ কোরবান আলী।
এ ব্যাপারে আদমদীঘি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দেওয়ান শামসুল হক বলেছেন, বিষয়টি আমার নোটে ছিল না। যেহেত জানতে পারলাম সেহেতু দ্রুত উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে ওই বিদ্যালয়ের মাঠ উন্নয়ন করার ব্যবস্থা গ্রহন করব।
দেশসংবাদ/প্রতিনিধি/এফএইচ/এইচএন
আপনার মতামত দিন
|