শিরোনাম: |
বাংলাদেশিসহ এশিয়ান-আমেরিকান ভোটারের ওপর পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, যদি আজই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চেয়ে ২৪ শতাংশ ভোট বেশি পাবেন জো বাইডেন। এই জরিপে অংশগ্রহণকারী এশিয়ান ভোটারের ১৪ শতাংশ এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি কাকে ভোট দেবেন।
গত মঙ্গলবার এশিয়ান আমেরিকান অ্যান্ড প্যাসিফিক আইল্যান্ডার্স (এএপিআই) পরিচালিত এই জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল কমিউনিটি হচ্ছে এশিয়ান-আমেরিকানরা। ২০১৮ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে এশিয়ান-আমেরিকান ভোটারের অংশগ্রহণ ছিল সবচেয়ে বেশি। তবে সংখ্যাগতভাবে বাড়লেও প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের সাংগঠনিক কাঠামোতে এখন পর্যন্ত সেভাবে সম্পৃক্ত হতে পারেননি এশিয়ানরা।
এই জরিপ পরিচালনাকারী টিম ও এশিয়ান-আমেরিকানদের তথ্য সংগ্রহকারীদের প্রধান কার্তিক রামাকৃষ্ণান মনে করছেন, নভেম্বরের নির্বাচনে এই কমিউনিটির অংশগ্রহণ আরও বাড়বে। কমলা হ্যারিসের কারণেও ভোট কেন্দ্রে তারা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি সরব হবেন।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৩০ শতাংশ সমর্থন দিয়েছেন ট্রাম্পকে। ৫৪ শতাংশ ভোট দেবেন জো বাইডেনকে। অপরদিকে, ৩৪ শতাংশ বলেছেন যে, তারা বাইডেনকে সহ্য করতে পারছেন না। এ ধরনের বিরুপ মনোভাব পোষণকারীদের ৬০ শতাংশ রয়েছেন ট্রাম্পের বিপক্ষে।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৫২ শতাংশ বলেছেন যে, নিজ নিজ এলাকার ডেমোক্র্যাট প্রার্থীকে তারা জয়ী করতে চান প্রতিনিধি পরিষদে ডেমোক্র্যাটদের আধিপত্য ধরে রাখতে। ২৮ শতাংশ বলেছেন রিপাবলিকানদের পক্ষে।
সিনেটে ডেমোক্র্যাট প্রার্থীদের জয়ী করতে চান ৪৬ শতাংশ ভোটার। অপরদিকে রিপাবলিকানদের পক্ষে রয়েছেন ৩৪ শতাংশ। মাত্র ৩০ শতাংশ এশিয়ান আমেরিকান বলেছেন যে, গত এক বছরে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন। এক্ষেত্রে রিপাবলিকানদের পক্ষে বলেছেন ৪০ শতাংশ।
এখনও অনেক ভোটারের সাথে কোনো প্রার্থীই যোগাযোগ করেননি বলে জানা গেছে। ৪ জুলাই থেকে ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ জরিপ চালানো হয় ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত এশিয়ান-আমেরিকানদের মধ্যে।
এদিকে, বাইডেনের নির্বাচনী প্রচারণা টিমের পক্ষ থেকে সামনের কয়েক সপ্তাহে ৬৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে শুধুমাত্র গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপণের জন্যে। ট্রাম্পের পক্ষ থেকেও ব্যাপক প্রচারণার কথা বললেও অর্থের পরিমাণ উল্লেখ করা হয়নি। তবে তা যে বাইডেনের চেয়েও বেশি হবে সেটি নিশ্চিত বলে বুধবার প্রাপ্ত সংবাদে জানা গেছে।
ফ্লোরিডা, মিশিগান, নর্থ ক্যারলিনা, পেনসিলভেনিয়াসহ ‘ব্যাটেলগ্রাউন্ড স্টেট’-এ ট্রাম্প ব্যাপক প্রচারণা চালাতে চান।বাইডেনের বিজ্ঞাপণ চলবে টিভি এবং ডিজিটাল সিস্টেমে। কোনো ভোটারই যেন তার প্রচারণা থেকে বঞ্চিত না হয়। কারণ, ওইসব প্রচারণায় থাকবে আমেরিকার ভবিষ্যতের কর্মকান্ডের ধারাবিবরণী।
গত কয়েক বছরে ট্রাম্প প্রশাসনের অব্যবস্থাপনা-দুর্নীতি-মিথ্যাচারের প্রসঙ্গও থাকবে। মোটকথা রাষ্ট্র পরিচালনায় ট্রাম্পের চরম ব্যর্থতার ধারাবিবরণী সম্বলিত তথ্যগুলো সকলের সামনে উপস্থাপন করাই হবে বাইডেনের বিজয়ের পথ-পরিক্রমা।
ট্রাম্পের প্রচারটিমের ম্যানেজার বিল স্টেপিয়েন বলেছেন, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা ব্যাপক প্রচারণায় নামছি। যেসব স্টেটে আগাম ভোট হচ্ছে সেগুলোতেই ব্যাপক প্রচারণা চালাবো। তবে ‘ফেইক নিউজ’ সার্ভিসগুলোর অপপ্রচারণা রোধেও কিছু বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালের চেয়ে এবারের বরাদ্দ কিছুটা বেশি। ফেইক নিউজের তাণ্ডব ঠেকানোর জন্যে। বিশেষ করে জরিপের নামে তামশা প্রতিরোধেও আমরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করবো।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ের সকল জরিপেই বাইডেন এগিয়ে রয়েছেন। তবে ব্যবধান খুব বড় নয়। এজন্যেই ভোটারের মন জয় করতে বহুমুখী প্রচারণার ভীষণ প্রয়োজন বলে বাইডেন টিম মনে করছে।
দেশসংবাদ/বিপি/এফএইচ/mmh
আপনার মতামত দিন
|