Desh Sangbad
Desh Sangbad
শিরোনাম: ■ বুধবার রাজধানীতে যেখানে যাবেন না ■ কবে রাষ্ট্রপতি পদ ছাড়বেন তা জানালেন হাসনাত-সারজিস ■ বাংলাদেশ থেকে ৬৫০ কিমি দূরে নিম্নচাপ, ঝড়ের শষ্কা ■ ছাত্র হত্যায় জড়িত ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবি ■ পুলিশ গাড়িতে ওপর আন্দোলনকারীদের হামলা ■ নির্মাণাধীন ভবন ধসে ৩ জনের মৃত্যু ■ বঙ্গভবনের সামনে দুই শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ
দুর্গাপুরে সুসং সরকারী মহাবিদ্যালয়ে চলছে ভর্তি বানিজ্য
Published : Thursday, 17 September, 2020 at 7:22 PM

সুসং সরকারী মহাবিদ্যালয়

সুসং সরকারী মহাবিদ্যালয়

সরকারী নিয়মনীতি ও নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে নেত্রকোনার দূর্গাপুর সুসং সরকারি মহাবিদ্যালয়ে একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগন এ অভিযোগ করেন।

জানা যায়, কোভিড-১৯ এবং অভিভাবকদের আর্থিক অস্বচ্ছলতার বিষয় বিবেচনা করে দরিদ্র, মেধাবী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ভর্তিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোকে উল্লেখিত ফি-যতদুর সম্ভব মওকুফ করতে নির্দেশনার উল্লেখ করে আন্ত:শিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি। শিক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরুর আগেই ভর্তি ফি, মাসিক বেতন, অগ্রীম অভ্যস্তরীন পরীক্ষা ফি বাবদ ৪২০ সহ যাবতীয় খরচের বিষয় উল্লেখ করে মানবিক ও ব্যবসা শাখায় ভর্তি ফি সেসন বাবদ ১৫শ টাকা সহ ২৬৭০ এবং বিজ্ঞানে ভর্তি ফি সেশন বাবদ ১৫শ টাকা সহ ২৯২০ টাকা প্রদান করতে হবে মর্মে ভর্তির নির্দেশনা দিয়েছেন কলেজ অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান।

শিক্ষা বোর্ডের জারিকৃত ভর্তির প্রজ্ঞাপনে সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি মফস্বল/পৌর (উপজেলা) এলাকায় ১হাজার টাকার বেশি হবে না বলে উল্লেখ থাকলেও শিক্ষা বোর্ডের নিয়মনীতি ও নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে অতিরিক্ত ভর্তি ফি গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে ওই কলেজের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ভুক্ত ভোগী বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, উপজেলা সদরে অবস্থিত সুসঙ্গ সরকারি মহাবিদ্যালয়ে চলতি বছর প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ভর্তি ও সেসন ফি বাবদ ১ হাজার ৫’শ টাকা করে নেয়া হচ্ছে।

এছাড়া পরীক্ষা ফি, অনলাইন প্রসেসিং ফি, ভর্তি ফরম, কলেজ উন্নয়ন, খেলাধুলা বাবদ আরও প্রায় ১২শ টাকা ফি আদায় করা হচ্ছে। এবছর একাদশ শ্রেণিতে প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীর ধারণ ক্ষমতা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় এক হাজার ২৫ জন। এর মাঝে মানবিক শাখায় ৭২৫ টি, ব্যবসায়ী শাখায় ১৫০ টি ও ব্যবসায়ী শাখায় ১৫০ টি আসন রয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে। ১৩ থেকে ১৭ ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলা ভর্তি কার্যক্রমের ইতিমধ্যে এ প্রতিষ্ঠানটিতে ভর্তি হয়েছে মানবিক শাখায় ৭২৩ জন, ব্যবসায়ী শাখায় ৪৫ জন ও বিজ্ঞান শাখায় ৬৭ জন। সব মিলিয়ে ৮৩৫ জন শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানে ভর্তি কার্যক্রম সমাপ্ত করেছেন।

এই হিসাব অনুযায়ী কলেজের উন্নয়ন খাতে নামে ৯ লক্ষ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা আর ফরম/চা-নাস্তার খরচ ১ লক্ষ ২৫ হাজার ২৫০ টাকা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত আদায় করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ১৯৭০ সালে সুসং রাজার বসত বাড়ির এক অংশে সুসং মহাবিদ্যালয় নামে প্রতিষ্ঠান যাত্রা শুরু হয়। কালের বিবর্তনে ও মহান মুক্তিযুদ্ধের পর অত্র এলাকার শিক্ষিত জাতি গঠনে ভূমিকা রেখেছে এই প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৬ সালের ২৩শে মে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা কার্যক্রম আরও আধুনিক করতে প্রতিষ্ঠানটিকে সরকারিকরণ করা হয়। তবে ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটিতে নানা সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে এর আগেও।

এদিকে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ রয়েছে দুর্গাপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজ, আলহাজ্ব মফিজ উদ্দিন তালুকদার কলেজ ও ডন বস্কো কলেজের বিরুদ্ধেও। আর শুধুমাত্র ভর্তি ফরম বিক্রি করেই শিক্ষার্থী প্রতি ৭০ টাকা করে আদায় করছেন দুর্গাপুরের নবনির্মিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ডন বস্কো কলেজ।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক জানান, সুসং সরকারি মহাবিদ্যালয়ে আগে টাকা জমা দিতে হয় তারপর ভর্তি ফরম দেয়। আগে টাকা না দিলে ভর্তি ফরম তারা দেয় না। তারপর কিসের জন্য এতগুলো টাকা নেয়া হচ্ছে ওইগুলো তারা আমাদের বলেন না।

এ নিয়ে কোন কিছু জিজ্ঞাসা করলেই শিক্ষকরা ভর্তি হলে হন না হলে চলে যান এরকম ব্যবহার করে আমাদের সাথে। তার ওপর সারা দেশেই এখন করোনার এক ধরনের আতঙ্ক চলছে। যার জন্য প্রায় ৭ মাসের বেশি সময় ধরে স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। কিন্তু এর মাঝেও কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষার ফি আদায় করছেন। ছয় মাস পর পরীক্ষা হবে কিনা কিংবা দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো খুলবে কিনা তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাহলে কেন গরীব অসহায় পরিবারগুলোর শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে অগ্রিম পরীক্ষার ফি সহ অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে।

সুসং সরকারি মহাবিদ্যালয় অধ্যক্ষ প্রফেসর মিজানুর রহমান জানান, র্ভতি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আমরা একটি কমিটি গঠন করেছি। এ কমিটির সাথে সমন্বয় করে আমরা একটি ফি নির্ধারণ করে দিয়েছি। সরকারিভাবে এক হাজার টাকা নেয়ার বিধান রয়েছে আমরা তা মেনে চলছি। তবে কলেজে উন্নয়নের জন্য আমাদেরকে ফান্ডের প্রয়োজন যা আমরা এ ভর্তি কার্যক্রম থেকেই সংগ্রহ করে থাকি। প্রতিষ্ঠান বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ক্রয়, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মকর্তা, এবং প্রতিষ্ঠানের কিছু শিক্ষকদের বেতনও উন্নয়ন ফি থেকেই দেয়া হয়। আর এ বছর আমরা পরীক্ষামূলক ভাবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার ফিও অগ্রিম আদায় করছি।

সরকারি প্রতিষ্ঠান হলেও কলেজের উন্নয়নে সরকার থেকে কোনো বরাদ্দ তেমন একটা আসেনা তাই ভাঙা ক্লাসরুম মেরামত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের চা-নাস্তার খরচ সহ বিভিন্ন খরচ অনেক সময় তারা নিজেরা বা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা হয় বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা খানম বলেন, কলেজের শিক্ষার্থী এবং অভিবাবকদের মাধ্যমে আমি বিষয়টি শুনেছি। সরকারী বিধির বাহিরে টাকা নেয়া সত্যি দু:খজনক। এ বিষয়ে খোজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

দেশসংবাদ/প্রতিনিধি/এফএইচ/mmh


আপনার মতামত দিন
বন্যার পানি কমলেও বাড়ছে দুর্ভোগ
নেত্রকোনা প্রতিনিধি
Friday, 11 October, 2024
শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
শেরপুর প্রতিনিধি
Monday, 7 October, 2024
শেরপুরে পানিবন্দি লাখো মানুষ, মৃত্যু ৭
শেরপুর প্রতিনিধি
Sunday, 6 October, 2024
পানিবন্দি দেড় লাখ মানুষ, বন্ধ রান্নাবান্না
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
Saturday, 5 October, 2024
নেত্রকোণায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে পিস্তল উদ্ধার
নেত্রকোণা প্রতিনিধি
Saturday, 7 September, 2024
আরো খবর
সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর >>
https://deshsangbad.com/ad/1699508455_1491666999_th.jpg
সর্বাধিক পঠিত
ফেসবুকে আমরা
সম্পাদক
এফ. হোসাইন
উপদেষ্টা সম্পাদক
ব্রি. জে. (অব.) আবদুস সবুর মিঞা
ঠিকানা
৮০২ ভিআইপি রোড, কাকরাইল
ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ।
Developed & Maintenance by i2soft
যোগাযোগ
ফোন: +৮৮ ০২ ৪৮৩১১১০১-২
মোবাইল: +৮৮ ০১৭১৩ ৬০১৭২৯
ইমেইল: [email protected]
up