শিরোনাম: |
তফসিল ঘোষণা না হলেও বগুড়ার নন্দীগ্রাম পৌরসভা নির্বাচনের হাওয়া বইছে জোরে সোরে। রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন পেতে শুরু করেছেন দৌড়ঝাঁপ। পাশপাশি ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন রংয়ের ব্যানার, ফেস্টুনে ছেঁয়ে গেছে।
অনেকেই ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময়, উঠান বৈঠক ও কর্মী সমাবেশ শুরু করছেন। সামাজিক নানা অনুষ্ঠানে হাজির হচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভোটারদের কাছে নিজেদের তুলে ধরার চেষ্টা করছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মেয়র ও কাউন্সিলারদের ভাবনা দলীয় মনোনয়ন পেলে নির্বাচনে জয় নিশ্চিত।
মনোনয়ন পেতে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরাও গোপনে চালাচ্ছেন তোড়জোড়। তবে বিএনপি নেতাকর্মীরাও আশা করছেন নির্বাচন সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হলে তাদের জয় নিশ্চিত। পুলিশি হয়রানি আর মামলার কারণে এবং কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত না থাকায় জামায়াত প্রার্থী দিবে না বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, নন্দীগ্রাম পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর। বর্তমান মেয়রদের মেয়াদের পাঁচ বছর শেষ হতে যাওয়ায় আগামী ডিসেম্বরে ভোটের কথা রয়েছে। নন্দীগ্রাম পৌরসভার আয়তন ১২.০৩ বর্গকিলোমিটার। ভোটার সংখ্যা রয়েছে ১৭ হাজার ৩১৬।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে আগাম প্রচার চালাচ্ছেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার প্যানেল মেয়র আনিছুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ আশরাফ মামুন এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক কামরুল হাসান সবুজ। গতবার এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন প্রয়াত রফিকুল ইসলাম।
বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে রয়েছেন বর্তমান মেয়র ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল, পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক মেয়র সুশান্ত কুমার শান্ত, পৌর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও ব্যবসায়ী একেএম ফজলুল হক কাশেম। তবে গত পৌরসভা নির্বাচনে বর্তমান মেয়র কামরুল হাসান সিদ্দিকী জুয়েল সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট করে জয়লাভ করেছিলেন।
দেশসংবাদ/প্রতিনিধি/এফএইচ/mmh
আপনার মতামত দিন
|