Desh Sangbad
Desh Sangbad
শিরোনাম: ■ টিউলিপকে বরখাস্তে প্রবল চাপের মুখে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ■ এনসিটিবির সামনে দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত অনেকেই ■ ‘বিচারের পর দল নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ আছে’ ■ অস্ত্র মামলায় রিমান্ডে ছাগলকাণ্ডের মতিউর ■ যুক্তরাষ্ট্রে সরকার পরিবর্তনে সম্পর্ক হোঁচট খাবে না ■ দুদক সংস্কারে ৪৭ সুপারিশ ■ অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াসহ সবাই খালাস
ত্রুটিপূর্ণ ৬৬ ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র
Published : Friday, 11 September, 2020 at 12:03 AM

আশ্রয়কেন্দ্র

আশ্রয়কেন্দ্র

বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন কিছু আশ্রয়কেন্দ্রে ত্রুটি ধরা পড়েছে। ফলে দুর্যোগে পড়া মানুষকে রক্ষার পরিবর্তে এসব আশ্রয়কেন্দ্র দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)।

১০১টি বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে ৬৬টির ত্রুটি পেয়েছে আইএমইডি। এসব ত্রুটিপূর্ণ আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে ২৭টি নতুন ও ৩৯টি পুরনো।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর পানি সরবরাহের ত্রুটির কারণে বিদ্যমান টয়লেটগুলো সঠিকভাবে পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব হচ্ছে না। দেয়ালে নোনা ধরেছে। দেয়াল ও মেঝেতে ফাটল দেখা গেছে। র‌্যাম্প ও সিঁড়ির মাঝখানে কলাপসিবল গেট না থাকায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। সীমানা প্রাচীর না থাকার কারণে প্রায়ই নিরাপত্তায় ব্যাঘাত ঘটে। জনসংখ্যার অনুপাতে পর্যাপ্ত সংখ্যাক আশ্রয়কেন্দ্র না থাকার ফলে এলাকার সব মানুষ সুষ্ঠুভাবে আশ্রয় নিতে পারে না।  

এই প্রতিবেদন ইতোমধেই স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বরাবর পাঠিয়েছে আইএমইডি। অন্যদিকে আইএমইডির প্রতিবেদন ভুল আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ পাঠিয়েছে এলজিইডি।

প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী জাভেদ করিম বলেন, “আইএমইডির প্রতিবেদনের বিষয়ে আমরা প্রতিবাদ পাঠিয়েছি। তারা (আইএমইডি) যে ত্রুটি পেয়েছে, তা নির্মাণাধীন কাজে। কাজ তো এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। আইএমইডি সঠিকভাবে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন তৈরি করেনি। এছাড়া তারা পুরনো কিছু আশ্রয়কেন্দ্রের ত্রুটিও বের করেছে। 

আইমইডির চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকৌশলগত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ৫২টি নতুন এবং ৪৯টি বিদ্যমান আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করা হয়েছে। তার মধ্যে বালির লবণাক্ততা পরীক্ষা করে ২০ শতাংশ কাজের লবণাক্ততা পাওয়া যায়, যার মধ্যে অধিকাংশই বিদ্যমান আশ্রয়কেন্দ্রে। অন্যদিকে ৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে পরিদর্শন করা হয়েছে তাতে দেয়ালে ফাটল, দরজা আঁকাবাঁকা, প্লাস্টার উঁচু নিচু, প্লাস্টার ভেজা, নিচতলার মেঝেতে কোথাও কোথাও ফাটল পাওয়া গেছে। পরিবীক্ষণ কাজের টিম লিডার ও প্রকৌশলী প্রকল্পের কাজের সাইট পরিদর্শন করেছেন বলে আইএমইডির চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।  

প্রকল্পের বাস্তবায়ন গতিও কম দেখা গেছে। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে শুরু হয়েছিল বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের কাজ। ২০২১ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা থাকলেও প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি মাত্র ৪৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ। প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতিও মাত্র ৪৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এর মধ্যেই ২৩৫ কোটি টাকা খরচ বাড়িয়ে ৩ হাজার ১৭০ কোটি টাকা করা হয়েছে।  

দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বন্যা, সাইক্লোন ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মানুষের জীবন, সম্পদ, আশ্রয়স্থল, গবাদিপশু ও অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়। তাই উপকূলীয় জনগণের সুরক্ষার প্রয়োজন। এ জন্য এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৯টি জেলায় ৫৫৬টি নতুন বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ এবং ৪৫০টি বিদ্যমান আশ্রয়কেন্দ্র মেরামতের জন্য প্রকল্প নেওয়া হয়।

প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে, ৫৫৬টি সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ, ৪৫০টি বিদ্যমান সাইক্লোন শেল্টারের উন্নয়ন, ৫৫০ কিলোমিটার সাইক্লোন শেল্টার সংযোগকারী সড়ক ও ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণ, পুনঃনির্মাণ এবং স্লোপ প্রটেকশন দেওয়া।

যেসব এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র

বরিশাল বিভাগের বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ, বাকেরগঞ্জ, উজিরপুর, বানারিপাড়া, সদর, গৌরনদী, হিজলা, মেহেন্দিগঞ্জ ও মুলাদী উপজেলা; ভোলা জেলার সদর, বোরহানউদ্দিন, চরফ্যাশন, দৌলতখান, লালমোহন, মনপুরা ও তজুমুদ্দিন উপজেলা; পটুয়াখালী জেলার বাউফল, দশমিনা, দুমকী, গলাচিপা, কলাপাড়া, মির্জাগঞ্জ, সদর ও রাঙ্গাবালী উপজেলা এবং পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া, ইন্দুরকানি, কাউখালী, মঠবাড়িয়া, নাজিরপুর, নেছারাবাদ ও সদর উপজেলা।

চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা, বাশঁখালী, বেয়ালখালী, চন্দনাইশ, ফটিকছড়ি, হাটহাজারী, কর্ণফুলী, লোহাগড়া, মিরসরাই, পটিয়া, রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, সন্দীপ, সাতকানিয়া ও সীতাকুন্ড উপজেলা; কক্সবাজার জেলার চকোরিয়া, সদর, কতুবদিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া, রামু, টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলা; ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া, দাগনভূঁঞা, সদর, ফুলগাজী, পরশুরাম ও সোনাগাজী উপজেলা; লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর, সদর, রামগঞ্জ, রামগতি ও রায়পুর উপজেলা এবং নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ, চাটখিল, কোম্পানীগঞ্জ, হাতিয়া, কবিরহাট, সদর, সেনবাগ, সোনাইমুড়ি ও সুবর্ণচর উপজেলা।

দেশসংবাদ/বিএন/এসআই


আপনার মতামত দিন
উৎপাদনে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট
পটুয়াখালী প্রতিনিধি
Tuesday, 7 January, 2025
‘মে থেকে ফিটনেসবিহীন বাস চলতে দেয়া হবে না’
নিজস্ব প্রতিবেদক
Wednesday, 1 January, 2025
আরো খবর
সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর >>
https://deshsangbad.com/ad/1699508455_1491666999_th.jpg
সর্বাধিক পঠিত
ফেসবুকে আমরা
সম্পাদক
এফ. হোসাইন
উপদেষ্টা সম্পাদক
ব্রি. জে. (অব.) আবদুস সবুর মিঞা
ঠিকানা
৮০২ ভিআইপি রোড, কাকরাইল
ঢাকা-১০০০, বাংলাদেশ।
Developed & Maintenance by i2soft
যোগাযোগ
ফোন: +৮৮ ০২ ৪৮৩১১১০১-২
মোবাইল: +৮৮ ০১৭১৩ ৬০১৭২৯
ইমেইল: [email protected]
up