শিরোনাম: |
মার্কিন নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেন যাকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত করেছেন, সেই কমলা হ্যারিসকে ইভাঙ্কার চেয়ে অযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি বলেন, ‘আমিও চাই কোনও নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হোন। কিন্তু তিনি (কমলা) যেভাবে প্রেসিডেন্সিয়াল পদ পাওয়ার জন্য এগোচ্ছিলেন, সেভাবে কোনও মহিলাকে দেখতে চাই না আমি। উনি একেবারেই যোগ্য নন।’
শুক্রবার নিউ হ্যাম্পশায়ারে সপরিবারে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেশনে তিনি এসব কথা মন্তব্য করেন। খবর সিএনএন।
সেখানে সমর্থকদের সামনে ট্রাম্প এই মন্তব্য করার পরেই তাঁর সমর্থকরা ইভাঙ্কার নামে স্লোগান দিতে শুরু করেন। তাতে ট্রাম্প বলেন, ‘দেখুন সবাই বলছেন, আমরা ইভাঙ্কাকে চাই। আমি আপনাদের দোষ দিচ্ছি না। কারণ, কমলার চেয়ে ইভাঙ্কা অনেক বেশি যোগ্য’।
একদিন আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে রিপাবলিকান শিবিরের মনোনয়ন গ্রহণ করেন ট্রাম্প।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিসকে তীব্র আক্রমণ করে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘ওঁর কী যোগ্যতা? সৌন্দর্য? হ্যাঁ উনি সুন্দরী বটে। কিন্তু ওরা এমন এক জন মহিলাকে বেছে নিয়েছে, যিনি প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে প্রচার তো ভালোভাবেই শুরু করেছিলেন। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই তাঁর জনপ্রিয়তা ১৫ থেকে ১২, সেখান থেকে ৯, ৮, ৫, ৩ এবং ২— ক্রমাগত নামতেই থাকে। তাতেই উনি জানিয়ে দেন, আমি সরে যাচ্ছি। এটাই আমার সিদ্ধান্ত। আসলে ভোট পাবেন না জেনেই সরে গিয়েছিলেন। উনি যদি আপনাদের প্রেসিডেন্ট হতেন, ভয়ঙ্কর রকমের খারাপ প্রেসিডেন্ট হতেন।’
জো বাইডেন এবং কমলা হ্যারিসকে তুরুপের তাস করে বহিঃশত্রুরা আমেরিকাকে ধ্বংস করে দেওয়ার চক্রান্ত করছে বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
অথচ প্রবাসী ভারতীয়দের মন পেতে সপরিবারে এ দেশে এসে গুজরাট-দিল্লি ঘুরে গিয়েছেন রিপাবলিকান পার্টির মনোনিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বিরাট সভারও আয়োজন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে। কিন্তু ভারতীয় এক বংশোদ্ভূতকে তুরুপের তাস করেই তার প্রেসিডেন্সিয়াল-পথে বাগড়া দিচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বী শিবির। তাতে এবার সেই ভারতীয় বংশোদ্ভূতের উপরেই চটলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে একটা সময় জো বাইডেনের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কমলা হ্যারিস। ডেমোক্র্যাট বিতর্কসভায় এক সময় জনসমক্ষে বাইডেনকে খুবই কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন তিনি। কিন্তু জনপ্রিয়তা ও সমর্থনের দৌড়ে পিছিয়ে পড়ে গত বছর নির্বাচন থেকে তিনি সরে দাঁড়ান। তার পর পুরনো আঘাত সরিয়ে রেখে, আসন্ন নির্বাচনকে পাখির চোখ করে তাঁকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে বেছে নেন বাইডেন। এই সিদ্ধান্ত তাঁর চারিত্রিক দৃঢ়তা এবং প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য মরিয়া চেষ্টাকেই স্বীকৃতি দিচ্ছে বলে মনে করছেন ডেমোক্র্যাটরা। আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে রিপাবলিকান শিবির।
দেশসংবাদ/জেআর/এফএইচ/mmh
আপনার মতামত দিন
|