স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস ২০২০ পালিত হয়েছে।
দিবসটি পালনে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার (১৫ই আগস্ট) সূর্যোদয়ের সাথে সাথে একাডেমিক ভবনের সম্মুখে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।এরপর সকাল ৯.১৫ টায় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.মু. আবুল কাসেম এর নেতৃত্বে শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ কালো ব্যাচ ধারণ কর্মসূচিতে অংশ নেয়।পরে শোক দিবস উপলক্ষে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
এরপর ভাইস চ্যান্সেলর এর নেতৃত্বে শহীদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ শুরু হয়। ক্রমান্বয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ, কর্মচারীগণ, হাবিপ্রবি স্কুলসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর বাণী পাঠ করা হয়। বানীতে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধ-বিধ্বস্থ দেশকে গড়ে তুলতে দিন-রাত কাজ করছেন, বিশ্ববাসীর স্বীকৃতি আদায় করছেন, জাতিসংঘ এবং ওআইসিসহ নানা ফোরামে স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ, দারিদ্র্য আর ক্ষুধা থেকে দেশ বাঁচাতে সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছেন ঠিক সেই মুহুর্তে স্বাধীনতা বিরোধী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রের যোগসাজসে তাঁকে হত্যা করা হয়। এ দেশের কিছু বিপথগামী ও কুলাঙ্গার সেনা সদস্যরা ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে যে নৃশংসভাবে হত্যা করে তা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি দারিদ্র নিরসন ও সামাজিক উন্নয়নেও অর্জন এখন লক্ষনীয়। বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন ও অগ্রগতির মহাসড়কে ধাবমান। ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতুর মতো বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নসহ আর্থ-সামাজিক প্রতিটি সূচকে এদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হয়েছে। ২০৩০ সনের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত একটি সমৃদ্ধ জাতি গড়ার পথে জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এবার আমরা এক ভিন্ন পরিস্থিতিতে জাতীয় শোক দিবস পালন করছি। বাংলাদেশসহ সারাবিশ্ব কোভিড ভাইরাস সংক্রমন জনিত মহামারীতে আক্রান্ত। জননেত্রী শেখ হাসিনা’র সঠিক ও গতিশীল নেতৃত্বে জাতি এই মহাসংকট যেভাবে মোকাবিলা করছে তা বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং জাতিসংঘ কর্তৃক প্রশংসিত হয়েছে।
বাণী পাঠ ও বিতরণ শেষে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন চত্ত্বরে ফলজ ও বনজ বৃক্ষরোপন কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়। বাদ যোহর হাবিপ্রবি’র কেন্দ্রীয় মসজিদে জাতির জনক ও শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যা ৬.৫০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে জাতীয় পতাকা অবনমিতকরণ করা হবে।