শিরোনাম: |
কক্সবাজারের মহেশখালী থানার ওসি দিদারুল ফেরদৌসকে গত দুদিন ধরে বিভিন্ন অজ্ঞাত নম্বর থেকে ফোন করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র। পুলিশ এসব হুমকিদাতাদের শনাক্ত করতে ইতিমধ্যে অনুসন্ধান শুরু করেছে। পুলিশের ধারণা, এলাকার মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর সঙ্গে জড়িত অপরাধীরাই এ কাজ করে যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে সহকারী পুলিশ সুপার (মহেশখালী সার্কেল) রতন কুমার দাশ গুপ্ত জানান, ইন্টারনেট নির্ভর প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রকার কাস্টমাইজড করা নম্বর থেকে এসব ফোন কল করা হচ্ছে। মহেশখালী থানার ওসির সরকারি নম্বরে একাধিকবার বিভিন্ন ডিজিটের নম্বর থেকে গত দুই দিনে এসব কল করা হয়েছে। ফোনের ওপার থেকে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় হুমকিমূলক বিভিন্ন অশালীন কথা বলার পাশাপাশি ওসিকে দেখে নেয়া হবে এবং তাকে বেশি দিন বাঁচতে দেয়া হবে না মর্মেও হুমকি দেয়া হয়।
তিনি জানান, স্থানীয় ক্রিমিনালরাই মূলত এ কাজ করছে। পুলিশ ইতিমধ্যে বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে অনুসন্ধান শুরু করেছে। বিষয়টি নিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করে অগ্রসর হচ্ছে পুলিশ। সন্ত্রাসীরা যেই হোক কাউকেও ছাড় দেয়া হবে না বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
মহেশখালী থানার ওসি দিদারুল ফেরদৌস জানান, কারো সঙ্গে তার ব্যক্তিগত বিরোধ নাই। রাষ্ট্রের স্বার্থে এলাকার আইন-শৃঙ্খলার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন মাত্র। সম্প্রতি মহেশখালী থানায় ওসি হিসেবে যোগদান করার পর এলাকার দাগী সন্ত্রাসী, অস্ত্রবাজ ও মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে তিনি ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে অপরাধীচক্রটি ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে এ কাজ করে যাচ্ছে বলে তার ধারণা।
জানা গেছে, অন্তত ৫টি কাস্টমাইজড ফোন নম্বর থেকে বিকল্প পদ্ধতির মাধ্যমে বিভিন্ন সময় এ কলগুলো দেয়া হয় ওসির সরকারি নম্বরে।
মহেশখালী থানা সূত্র জানায়, দিদারুল ফেরদৌস সম্প্রতি ওসি হিসেবে এ থানায় যোগদান করার প্রায় এক মাসের মধ্যে পুলিশ অন্তত ৮৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। যাদের অনেকেই তালিকাভুক্ত অপরাধী। তাছাড়া অস্ত্র ও মাদক সংক্রান্তসহ ৪৩টি মামলা হয়েছে থানায়। ৫টি মদের কারখানায় অভিযান ও এই সময়ের মধ্যে কয়েক হাজার পিস ইয়াবাও উদ্ধার করে পুলিশ। এমন পটভূমিতে সংশ্লিষ্ট অপরাধীচক্রের সদস্যরা এ অপতৎপরতা শুরু করেছে বলে থানার পুলিশ সদস্যরা মনে করেন।
দেশসংবাদ/জেআর/এসআই
আপনার মতামত দিন
|