শিরোনাম: |
বান্দরবানে দীর্ঘ ১৪৪ দিন বন্ধ থাকার পর আগামী ১৭ ই আগষ্ট থেকে বান্দরবানের সকল পর্যটনকেন্দ্র, হোটেল, মোটেল, রির্সোট খুলে দেওয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন জানান, জেলায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আগের চেয়ে কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। তা ছাড়া কক্সবাজার, রাঙামাটিসহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে পর্যটন খুলে দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ কারণে বান্দরবানেও ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের পরে ১৭ আগস্ট থেকে পর্যটন, হোটেল-মোটেল খুলে দেওয়ার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য ও পর্যটন ব্যবসায়ী কাজল কান্তি দাশ বলেন, পাঁচ মাস ধরে কোনো আয় ছাড়া কর্মচারীদের বেতন দিতে হচ্ছে। পর্যটন খুলে দিলে মালিকদের লাভ না হোক, কর্মচারীদের চালানোর মতো ব্যবসা হলেও কিছুটা সাশ্রয় হবে।
আবাসিক হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম জানান, জেলায় কর্মসংস্থান ও আয়ের বড় খাত হচ্ছে পর্যটন। তিনি আরো বলেন, ‘পর্যটন খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে আমরা খুশি।’
ঈদের ছুটিতে প্রকৃতির নির্মল স্বাদ পেতে পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটন এলাকা বান্দরবান। পাহাড়-পর্বত ছাড়াও এখানে রয়েছে ঝিরি-ঝর্ণা, মেঘলা, নীলাচল, নীলগিরি, বগালেক,চিম্বুকসহ অসংখ্য পর্যটন কেন্দ্র। প্রতি বছরই ঈদের টানা ছুটিতে পর্যটকদের ঢল নামে বান্দরবানে।করোনায় এই বছর ব্যতিক্রম। এসময়ে যেখানে পর্যটকদের ঢল থাকার কথা,সেখানে পর্যটক শূন্য। খালি পড়ে রয়েছে পর্যটন কেন্দ্রগুলো। হোটেল-মোটেল রিসোর্টগুলো ফাঁকা। করোনার কারণে সাড়ে চার মাসেও চালু হয়নি হোটেল-মোটেলসহ পর্যটন শিল্প ব্যবসা প্রতিষ্টান।তবে ঈদ উপলক্ষে বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্রগুলো খোলা হবে এমনটাই অনেকের প্রত্যাশা ছিল সংশ্লিষ্ট পর্যটন ব্যবসায়ীদের। কিন্তু ঈদেও বন্ধ ছিল বান্দরবানে হোটেল-মোটেল ও পর্যটন কেন্দ্রগুলো।
করোনা প্রতিরোধে বান্দরবান জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ রাখায় বান্দরবানের পর্যটকদের আগমন ঘটেনি। পর্যটনকেন্দ্র গুলোর মূল ফটকে লাগানো হয়েছে তালা আর র্কর্মচারীরা কেউ মোটর বাইক চালিয়ে জীবনের সন্ধানে আবারও কেউ পার করছেন অলস সময়। পর্যটক না থাকায় বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে বিরাজ করছে শুন্যতা। গত ১৭ মার্চ স্থানীয় প্রশাসন পর্যটক ভ্রমন নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।এখনো বহাল রয়েছে এতে ধস নেমেছে পর্যটন শিল্পসহ সংশ্লিষ্ট ব্যবসা।ফলে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে পড়েছে ব্যবসায়ীরা।
এদিকে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মতে, করোনাভাইরাসের কারণে বান্দরবানে পর্যটক শুন্য। যেই কারণে আমাদের হোটেল-মোটেল রিসোট বন্ধ করে দিয়েছে।ফলে চরম সংকটে পড়ছে পর্যটন শিল্প ব্যবসায়ীরা।ঈদে পর্যটন ব্যবসা জমে উঠবে এমন আশায় বুক বেঁধেছিল তারা।আশা নিরাশ হয়ে গেছে ব্যবসায়ীদের। যার ফলে অর্থনৈতিক ভাবে বিপর্যয়ে পড়বে এখানকার পর্যটন শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি অমল কান্তি দাশ বলেন,বান্দরানে পর্যটনসহ শিল্প ব্যবসায় বড়ধরণের প্রভাব পড়েছে। করোনাভাইরাস সারা বিশ্বেছড়িয়ে পড়ায় নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়।যার কারণে সকল ব্যবসায়ীরা আর্থিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।এইটি স্বাভাবিক হলে সংকট কেটে উঠতে পারবে।
আপনার মতামত দিন
|