শিরোনাম: |
কুড়িগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেষ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল ও বৃক্ষরোপণের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়েছে।
৮ আগস্ট (শনিবার) বিকেলে বছির উদ্দিন নুরাণী মাদ্রাসায় মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ মোঃ রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে দোয়া পরিচালনা করেন ইমাম হাফেজ মোঃ জাবেদ আলী। পরে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে ফলদ বনজ ও ফুলগাছ সহ নানান জাতের বৃক্ষ রোপণ করা হয়।
কৃষিবিদ ডঃ শাহানাজ বেগম নাজু কতৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মন্জু।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছার জন্মদিনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে তাঁর কর্মজীবনের নানাদিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন সাবেক মহিলা এমপি আহমেদ নাজমীন সুলতানা, আয়োজক কৃষিবিদ ডঃ শাহানাজ বেগম নাজু, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খ.ম. আতাউর রহমান বিপ্লব, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা নুরুন্নবী বাপ্পি প্রমূখ।
প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান বিপ্লব বলেন, পিতা মুজিব কারাগারে থাকাকালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ বাঙ্গালী জাতিকে সুসংগঠিত করার পাশাপাশি পরিবারের মতো আগলে রেখেছিলেন বঙ্গমাতা। আর তাইতো আমরা বাঙ্গালী জাতি পেয়েছি লাল সবুজের পতাকা ।
আমান উদ্দিন আহমেদ মন্জু বলেন, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন প্রচারবিমুখ। নিরবে নিভৃতে কাজ করে গেছেন তিনি। পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তিনি ছায়ার মত আগলে রেখেছিলেন। পিতা মুজিব যখন কারাগারে ছিলেন তিনি তখন আন্দোলন সংগ্রাম এগিয়ে নিয়েছিলেন। তাঁর অবদান বাস্তবে প্রকাশিত হয়নি। আজ ইতিহাস থেকে আমরা অনেককিছু জানতে পারি। তিনি না হলে হয়তোবা বঙ্গবন্ধুর পক্ষে এরকম বিশাল অর্জন সম্ভব নাও হতে পারতো।
বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী ও শোকাবহ আগস্ট ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে বছরব্যাপী কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষরোপণ চলমান রয়েছে।।
এসময় বক্তারা সবুজ কুড়িগ্রাম গড়ার লক্ষে বছরব্যাপী গৃহীত এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সকল নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণের প্রতি আহবান জানান।
দেশসংবাদ/প্রতিনিধি/এনকে
আপনার মতামত দিন
|