ইলিশের ব্যাপক আমদানির ফলে জমজমাট চাঁদপুরের মাছের বাজার। মাছ-ঘাট, অলিতে-গলিতে এখন মিলছে নানা সাইজের ইলিশ। তবে এই ইলিশ নদীর নয়, সাগরের ইলিশে সয়লাব রূপালি ইলিশের রাজধানী খ্যাত চাঁদপুর মাছঘাট। টানা তিনদিনে প্রায় দুই হাজার মণ ইলিশ এই ঘাটে আমদানি হবার পর ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে। ফিশিং বোট ও পিকআপ গাড়িতে এসব মাছ ঘাটে আসে। মাছের আমদানি বেশি হওয়ায় দাম কিছুটা কমেছে।
পাইকারি দরে ছোট সাইজের ইলিশ প্রতি মণ ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা আর বড় সাইজের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১৮ থেকে ১৯ হাজার টাকায়।
মেজবাহ মাল, আব্দুল খালেক মাল, সিরাজ সিকদার (ছোট), উত্তম দে, হাজী কুদ্দুস খাঁ, বাবুল হাজী, মালেক খন্দকার, হাজী আঃ রব চোকদার, শবে বরাত হাজী, উত্তম কুমার দে, গফুর জমাদার, কালু ভূঁইয়া, ইকবাল বেপারীর আড়তে এ ইলিশ ক্রয়-বিক্রয় হতে দেখা যায়। চালানিরা এসব মাছ ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠায়। সবচেয়ে বেশি ইলিশের আড়তদারি হয়েছে হাজী আঃ মালেক খন্দকারের আড়তে।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী শবে বরাত সরকার জানান, পদ্মা-মেঘনার মাছ কম। গভীর সমুদ্রের কাছাকাছি উপকূলীয় অঞ্চলের নদ নদী থেকে আহরিত ইলিশ চাঁদপুরে আসায় করোনাকালীন এই সময়ে ঘাটের ব্যবসায়ীরা কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। তিনি বলেন, এসব ইলিশ গভীর সমুদ্রের নয়, সমুদ্রের কাছাকাছি নদ-নদীর।